ইতালিয়ান চপ
আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে আমরা বানাই ভাতভাজা। বাংলাদেশে শুনেছি ভাতের চপ বানায়। আর ইতালিতে বানায় আরানসিনি। মাখা মাখা, ক্রিমি রিসোতো যদি বেঁচে যায়, পরেরদিন কিমার পুর দিয়ে গোল্লা পাকিয়ে, ফ্যাটানো ডিমে চুবিয়ে, ব্রেডক্রাম্ব মাখিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই তৈরি এই মুখোরোচক খাবার।
ইতালিয়ানে আরানসিও মানে কমলালেবু। ভাজলে পুঁচকে কমলালেবুর মতন লাগে বলে এর নাম আরানসিনি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, এখন গোটা দেশ জুড়ে পাওয়া গেলেও এই ভাতের চপের শুরু সিসিলি থেকে। আরবদের হাত ধরে। ইতালির পায়ের সামনের ফুটবলের মতন দ্বীপটা একসময় ছিল আরবদের অধীনে, আর তাদের হাত ধরেই এই দেশে ঢোকে ভাত আর কমলালেবু।
আরানসিনি প্রথম খাওয়ার সুযোগ হয়েছিল মিলান রেলস্টেশনের ছোট্ট একটা দোকানে। দোকানির দাঁত ভাঙা ইংরেজি আর আমাদের অসাধারণ ইতালিয়ান জ্ঞানের ফলে বুঝে উঠতে পারিনি স্কচ এগের মতন দেখতে জিনিসটা আসলে কি! খাবার সময় ভাঙতে দেখি ভিতরে ভাত আর মাঝখানে মাংস। তবে স্কচ এগের থেকে ভালো বৈ মন্দ লাগেনি এই ভাত মাংসের চপ।
আগের দিনের বানানো একটু কিমা বেঁচে গিয়েছিল। তাই দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেললাম আরানসিনি। এমনিতে কিমাটা মাঝখানে থাকে, কাজ কমাতে রিসোতোর সাথেই মেখে নিয়েছিলাম।