উইম্বলডন কি ওপেন টুর্নামেন্ট?

আজ থেকে শুরু হল উইম্বলডন। বছরের তিন নম্বর মেজর। সবুজ ঘাসে সাদা পোশাকের টুর্নামেন্ট। ব্যাপার হচ্ছে, বাকি তিনটে মেজরের নামের পিছনে ওপেন কথাটা থাকলেও, এ কিন্তু শুধুই উইম্বলডন। বা খাতায় কলমে দ্য চ্যাম্পিয়নশিপস, উইম্বলডন। এ’রকম কেন? তবে কি বাকি তিনটে মেজরের মত উইম্বলডন ওপেন টুর্নামেন্ট নয়? উইম্বলডন আদৌ ওপেন কিনা জানবার আগে বুঝতে হবে ওপেন টুর্নামেন্ট ব্যাপারটা কী?

 

১৮৭৭ সালে শুরু হয় উইম্বলডন। তার পর একে একে ইউএস ন্যাশনাল সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়নশিপস ফর মেন, ফ্রেঞ্চ ইন্টারন্যাশনালস অফ টেনিস এবং শেষে অস্ট্রেলেশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। হ্যাঁ এইগুলোই ছিল এখনকার ইউএস ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন বা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম নাম। সবাই কিন্তু তখন এই প্রতিযোগিতাগুলোয় খেলার সুযোগ পেত না। ইউএস ওপেনের নামেই যেমন বোঝা যাচ্ছে শুরুর দিকে খেলত শুধু ছেলেরাই। কে খেলতে পারবে সেই ব্যাপারে নিয়ম অনেক ছিল। আর তার মধ্যে একটা হল পেশাদার খেলোয়াড়দের খেলতে মানা। টেনিস থেকে কোনরকম উপার্জন যে করে, তা সে খেলেই হোক, বা কোচিং করে – তাঁর জন্য সবক’টা মেজরের দরজাই ছিল বন্ধ। 

 

প্রথম দিকে অবশ্য এ’সব নিয়ে কোন অসুবিধা হয়নি। যাঁরা টেনিস খেলতো, তাঁরা ভালোবেসেই খেলতো। খেলাটা তাদের পেশা ছিল না। কিন্তু ১৯২৬-এ চার্লস পাইল নামে এক ভদ্রলোক শুরু করলেন প্রফেশলান টেনিস ট্যুর। দুইভাগে ভাগ করে দিলেন খেলোয়াড়দের। যাঁরা পেশাদার হল, তাঁরা আর খেলত না মেজরগুলোয়। দিন দিন প্রফেশনাল ট্যুরের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ আসতে থাকল মেজরগুলোর উপর। এবং শেষ পর্যন্ত ১৯৬৮ সাল থেকে মেজরগুলো (অস্ট্রেলিয়া ১৯৬৯ থেকে) সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হল। শুরু হল ওপেন এরা। নাম পালটে রাখা হল – ফ্রেঞ্চ ওপেন, ইউএস ওপেন এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। তবে নাম পাল্টাতেই হবে এমন কোন নিয়ম কিন্তু ছিল না। বাকি তিনটে টুর্নামেন্ট পাল্টালেও উইম্বলডন তাই পুরনো নামই রেখে দেয়। সুতরাং নামে ওপেন কথাটা না থাকলেও বছরের তৃতীয় মেজর আদতে পুরোপুরিই ওপেন টুর্নামেন্ট।